Tuesday, November 29, 2016

ডিয়ার িZ নদেগি

ডিয়ার িZ নদেগি,
যখন তুমি বলেছিলে বড় নোট পাল্টে ফেললে অন্তত ভারতের মধ্যে থাকা কাল টাকা শেষ হয়ে যাবে, সৎ (অন্তত তুমি তাই বলেছিলে) ও সাদা টাকাধারি সাধারণ মানুষের শত অসুবিধা সত্ত্বেও আমি তোমাকে সমর্থন করেছিলাম।

অনেক বড় বড় অর্থনিতিবিদ (যার মধ্যে নোবেলজয়ী অর্থনিতিবিদ ডঃ অমর্ত সেনও আছেন) যখন বলছেন যে এই সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনিতিতে দীর্ঘমেয়াদী খারাপ ছাপ ফেলবে তখনও আমি তোমাকে সমর্থন করেছিলাম। কারন ছোটবেলা থেকে আমাদের শেখানো হয়েছে যে সৎ পথে কামানো ডাল ভাত অসৎ পথে কামানো বিরিয়ানির থেকে ভাল।

আমি আর আরও লক্ষ লক্ষ লোক, যারা কোন দোষ না করা সত্ত্বেও হাসিমুখে ব্যাঙ্কএর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, শুধুমাত্র এটাই চেয়েছিলাম যে তুমি কালটাকাধারিদের শাস্তি দাও।

কিন্তু ডিয়ার িZ নদেগি,
আমরা ভগ্নহ্রিদয়ে দেখছি সংসদে কালো টাকা ধারিদের মাফ করার জন্য বিল পাস হচ্ছে। কালো টাকার ৫০ % সরকারকে দাও আর কালো টাকা সাদা? এই কারনেই কি তুমি দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেদের সীমান্তে পাহারারত সৈনিকদের সাথে তুলনা করেছিলে? এটাই কি তোমার সৈনিকদের প্রতি তোমার সম্মান? একজন আতঙ্কবাদীকে ধরো, সে তার দোষ স্বীকার করুক আর তাকে যেতে দাও? ডিয়ার িZ নদেগি,

আমি জানি যে তুমি বলেছো তুমি ওই টাকাগুলো গরীব লোকেদের জন্য খরচ করবে। কিন্তু দয়া করে বোঝার চেষ্টা করো আমাদের (এমনকি গরিবদেরও) টাকা কম নেই, আমাদের যেটা কম ছিল আর যেটা তুমি দেবে বলে অঙ্গীকার করেছিলে সেটা হল সম্মান।

একটা চোর আমাদের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল। তুমি এসে আমাদের পেটালে চোরটাকে ধরার জন্য, আমরা ছুটে গিয়ে চোরটাকে ধরলাম, তখন তুমি চোরটাকে বললে চুরির মালের অর্ধেক আমাদের দিয়ে পালিয়ে যেতে?

ডিয়ার িZ নদেগি,
তুমি যখন তোমার ছাতির পরিধি শুনিয়েছিলে আমরা ন্যানোমিটারের চেয়ে কম দৈর্ঘ মাপতে সক্ষম হওয়া সত্তেও তোমাকে সন্দেহ করিনি। কিন্তু আমার বিনিত নিবেদন এই যে তোমার কাছে আরও ৩০ দিন মত আছে (তুমি ৫০ দিন চেয়েছিলে), টাকার সাথে আমাদের সম্মানটা ফিরিয়ে এনে দাও। নাহলে.........!!! নাঃ আমাকে বলতে হবে না নাহলে কি হবে !!!

এই ব্যাপারে আমি তোমারই উদ্ধৃতি (বানানটা ঠিক করে টাইপ করা গেল না) তুলে ধরতে চাই " আমার প্রিয় দেশবাসি, আমাকে ৫০ দিন দিন, আমি 
আপনারা যে রকম ভারতবর্ষ চান সে রকম ভারতবর্ষ আপনাদের দেব। না হলে আপনারা যে চার রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়াতে 
বলবেন আমি সেই চৌরাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়াব আর যে সাস্তি দেবেন মাথা পেতে নেব।"

ডিয়ার িZ নদেগি,

আমি তোমাকে ভালবাসি। দয়া করে নিজের অঙ্গীকার পুরন করো। না হলে ভালবাসার মানুষকে কিছু করা আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে যাবে। 



Dear Zindagi,
When you promised that changing the big notes will end the black money, at least which is present inside India, despite the problems of white money holder honest (You told this) and common people I supported it.
Despite the fact that many well known Economists (Including Noble prize winner Dr Amarta Sen) are saying that due to this decision India will have to face long term negative effect on Indian Economy, I supported the decision. Because from the childhood we are taught to have simple rice and dal by earning honestly than eating biriyani earning by other way.
Me and other millions of people, who have done no wrong and still standing in the long queue towards the bank counter with smile in face, just wanted that you will punish the black money holders.
But what is this dear Zindagi? We saw bills are passing just to forgive the culprits. Give 50% of your black money to government and its white? Is this the reason the people were standing in the queue were compared with soldiers in the border? This is how you respect the soldiers? Catch a terrorist, just let him/her confess the terror and let them go?
Dear Zindagi, I know you told that you will spend those money for the poor, but please understand we dont lack food or money (Yes even the poor), what we were lacking and you promished to fulfill is dignity.

A thief stole our money, you beat us to chase the thief, and when we caught him/her you just asked the thief to give the half of the stolen thing to us and let them go?

Dear Zindagi,
When you announced the circumference of your chest we didn't doubt it despite the fact that we can measure even less than nanometer scale. But I humbly request you that you have still ~30 days left (You asked 50 days) and please bring us back our respect not only the money. Otherwise ........!!! Sorry I dont have to say what will be Otherwise !!!
Because even you told that also I just want to quote you "Give me 50 days. I shall give you what kind of India you want. Otherwise I shall come to the crossroad where you want and I shall take the punishment what you give me".
Dear Zindagi,
We love you please fulfill your promise. Otherwise it will be very difficult for us to do something whom we love.

Saturday, November 5, 2016

দিনলিপি - জেবুদো (জেবুদ্বীপ)

২০১৬/১১/০৫
আজ শনিবার। কাল থেকে অনেক পরিকল্পনা করেছিলাম আজ ক্রুতিকে নিয়ে যাব ইনছন তারপর ফিরে আসব ল্যাব শেষ করে। কারন শনিবার তাড়াতাড়ি ল্যাব শেষ হয়ে যায়। তা ছাড়া আর একটা মজার জিনিষ করার ছিল। ভেবেছিলাম শনিবার রাস্তায় ট্রাফিক কম থাকে তাই এক ঘন্টার মধ্যে পৌছে যাব ইনছন। 
গাড়ি নিয়ে বের হলাম অনেক আশা নিয়ে যে ফাঁকা রাস্তায় সাঁই সাঁই গাড়ি চালাব। কিন্তু সব আসায় জল ঢেলে রাস্তায় এত ভিড় যে গাড়ি ধিরে ধিরে চলতে লাগল। যাই হোক, আমি আবার কায়দা করতে গিয়ে হাইওয়ে ছেড়ে অন্য রাস্তায় ঢুকলাম তাড়াতাড়ি যাবার জন্য। কিন্তু সে আবার হিতে বিপরীত। আরো জ্যাম আর ট্রাফিক। মেজাজ অত্যন্ত বিগড়ে গেল। অনেক কষ্টে নিজেকে ঠিক রাখলাম। সবচে বড় ব্যাপার এতই দেরি হল যে ল্যাবে ১২ টার পর পৌছালাম। 
যাক, যা হবার হয়ে গেছে। ল্যাবে তো পৌছনো গেল না। ক্রুতি একটা আইডিয়া দিল। আমরা রেষ্টুরেন্টে খাব। খেলাম আরবিক্সএ। সলমন মাছ। আর বিরিয়ানি রাইস। 
তারপর আইডিয়াটা এল আমার মাথায়। দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া যেতে পারে। একটু গ্রাম দেখে। ম্যাপ খুলে দেখলাম ৫০-৬০ কিলোমিটারের মধ্যে একটা ছোট দ্বীপ আছে। ব্যাস বেরিয়ে পড়লাম। 
সুন্দর ছিল এই সফর।
























Sunday, October 30, 2016

এমনি একটা বিকেল

আমাদের দেশে হেমন্ত কালটা আছে বটে তবে শরৎ আর শীতের মাঝে ঠিক অনুভব করা যায় না। এখানে হেমন্ত কালটা বেশ বোঝা যায়। যদিও হেমন্ত কালের সঠিক অনুবাদ Autumn হয় কিনা ঠিক বলা যায় না। এখানে গাছের পাতাগুলো নানা রঙ্গে পালটে যায়। লাল হলুদ গেরুয়া, আরও কত কি। অপরূপ সুন্দর হয়ে যায় চারদিক। আমার বাড়ির কাছে একটা পাহাড় আছে। সেখানেও চারদিকে দারুন রঙ্গে ভরে ওঠে। এই সপ্তাহে ভেবেছিলাম সেই রঙ এসে গেছে। তাই ছবি তুলতে গিয়েছিলাম সেখানে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম এখনও ভালভাবে সব গাছে রঙ আসে নি। একটু হতাশ হলাম । তাই শহর থেকে একটু দূরে যেতে ইচ্ছা করল।
যেমন ভাবা তেমনি কাজ। ঠান্ডা একটু বেড়েছে বটে। পাড়ি দিলাম শহর থেকে দূরে। শিওল শহরের উত্তরে, উত্তর কোরিয়ার সিমানার কাছে একটা ছোট শহর বা গ্রাম পাজু। গ্রামের দিকে এলাম অনেক দিন পর। সদ্য ধান কাটা হয়েছে। চারিদিকে সেই চেনা ধানের গন্ধ। আহা আমার ছোটোবেলার গন্ধ। মন কেমন করছিল ঘরের জন্য। আজ সেখানে সবাই বাজি পোড়াচ্ছে। দেওয়ালি যে আজ। মাঠের মধ্যে দিয়ে সুন্দর রাস্তা। আর থাকতে পারলাম না। নেমে পড়লাম ফাঁকা ক্ষেতে। একটু দূরে লঙ্কা, তিল, বাঁধাকপির ক্ষেত। হাত দিয়ে ছুয়ে দেখলাম। স্মৃতির চাকাটা অনেক ঘুরে গেল।
সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। ঠান্ডা বাড়ছিল। দূরে পাহাড়ের কোলে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছিল রবিমামা।
ঘরে ফিরতে হবে।















Saturday, May 28, 2016

সন্ধ্যাবেলা

সন্ধ্যাবেলা একটা কেমন যেন সময়। বেশ দিন ছিল। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ টুপ করে সূর্যটা ডুবে যায়। লাল আলোটা ছড়ায় বটে তবে কেমন মন কেমন করা। খুশির থেকে মনমরা ভাবটা যেন একটু বেশি। কেমন যেন একটা ভয় ভয় ভাব। এখুনি চলে যাবে। ভাল সিনেমার শেষে যেমনটা হয় না। মনে হয় আর একটু হলে হত কিন্তু ঠিক শেষ হয়েই যাবে। একটা ধরতে না পারা একটা পিছলে যাওয়া অনুভূতি। ঠিক যেন আইস্ক্রিম খাওয়ার মত। এই বুঝি গলে জল হয়ে যায়। তারপর কালসন্ধ্যাবেলা। আরো অবশ করা। শুনেছি এই কালসন্ধ্যাবেলাতেই নাকি হিরণ্যকশিপু ঢলে পড়েছিল মৃত্যুর কোলে। একটা না আলো না ছায়া ভাব। আলো ভাল, আঁধারও ভাল। কিন্তু এই আলো আঁধারিটা ঠিক যেন সওয়া যায় না। 
ছোটবেলায় যখন বিকেলে খেলতে যেতাম তখন সন্ধ্যাবেলা ছিল ঘর ফিরে আসার সময়। অনেক বাড়ি থেকে শাঁখের আওয়াজ আসত। বাড়ি ফিরে দেখতাম মা সন্ধ্যা দিচ্ছে মানে প্রদীপ জ্বালাচ্ছে তুলসীতলায়। খেলার পরে বাধ্যতামূলক ছিল হাত পা ধুয়ে বাড়ি ঢোকা। বাডির বড়রা নজর রাখতো। হাত পা ধুলাম কি না। 
শীতকালে সন্ধ্যা বড় তাড়াতাড়ি হয়ে যেত। খেলার সময়টা অনেক কমে যেত। তার উপর যেই খেলা শেষ করতাম শীতটা যেন হঠাৎ চেপে বসত। মা দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতো সোয়েটার নিয়ে। ছোটবেলা মানে অনেক ছোটবেলা, যখনও আমি হোস্টেলে যাই নি। 
শীতকালে বোরো ধান কাটা হত। বোরো ধানে নাকি অনেক কীটনাসক থাকে। তার উপর বোরো ধানে অনেক বড় বড় রোঁয়া থাকত। বিকেলবেলায় একটা প্রধান খেলা ছিল ধানের জাঙ্গির / গাদার (এটার আর বঙ্গানুবাদ করতে পারলাম না, যে জানে সে জানে) উপর উঠে লাফালাফি করা। ফলে অবধারিতভাবে যখন খেলা শেষ হত তখন বোঝা মুস্কিল যে খেলে ফিরছি কি রণক্ষেত্র থেকে ফিরছি। সারা হাত পা কেটে যেত খড়ের রোঁয়ার। তা থেকে রক্ত বের হত। তখন কি যে ম্যাজিক করা থাকত জানি না, যন্ত্রণার কোন বালাই থাকত না। থুড়ি, যন্ত্রনা হত যখন পড়তে বসতাম। তখন রাজ্যের যন্ত্রনা। তার উপর মায়ের বকুনি। আশ্চর্যের ব্যাপার পরের দিন আবার যে কে সেই। সেই খড়ের গাদা, সেই লাফালাফি সেই ধুল্‌ সেই কাকুর/বাবার অবিচ্ছিন্ন বকুনি। খড়ের গাদা আমাদের কাছে খেলা হলেও বড়দের কাছে কাজ। 
যাই হোক বিকেলবেলা বলতে বসিনি এখন, বসেছি সন্ধ্যাবেলা বলতে। যেই বিকেলটা শেষ হয়ে যেত ঝুপ করে নেমে আসত অন্ধকার। হঠাত সব চুপচাপ। ঘর ঢোকার সময় মন্দিরে পুজো হত। তার প্রসাদের জন্য অপেক্ষা করতাম। 
সেই কাঁসর ঘন্টা আজও বাজে। সেই প্রদীপ এখনও জ্বলে। সেই প্রসাদ আজও বিলি হয়, সেটা নিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা হুটোপাটি করে। লুকিয়ে লুকিয়ে দুবার প্রসাদ নেবার চেষ্টা চালায়। বিশেষ করে শীতকালে (না গ্রীষ্মকালে??) স্বর্গবাতি জ্বালানো হয়। অনেক উঁচুতে একটা বাঁশের উপর একটা প্রদীপ জ্বালানো হয়, একটা লাল শালুর ঘরে, যেটাকে স্বর্গবাতি বলে। কাঁসর ঘন্টা কে বাজাবে সেই নিয়ে ঝগড়া হয় আজও , মনে হয়, মানে তাই তো হওয়া উচিৎ। বামুন-ঠাকুরের পুজো কখন শেষ হবে তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা, শাঁখ বাজলেই শান্তিরজল ছেটানো। সেই শান্তিরজল যাতে পায়ে না লাগে তার জন্য পা গুটিয়ে বসা, মায়ের আঁচল দিয়ে পা ঢেকে নেওয়া, পাশের সবার পা ঢেকে দেওয়া, সবই হয় - তাই তো মনে হয়। 
সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ সূর্য ডুবে যাওয়া - আবার তারই মাঝে কত কাজ। সবই সারতে হয় দ্রুত। না হলে অন্ধকার হয়ে যাবে। 
কতদিন হয়ে গেল সূর্য ডোবার পর অন্ধকার দেখি নি। সন্ধ্যার সেই মনকেমন করা ভাব ল্যাবরাটরির নিরন্তর আলোয় জায়গা খুঁজে পায় না। তবু হঠাৎ জানালার ফাঁক দিয়ে সেই লাল রংটা দেখলে মাঝে মাঝে বুকের ভেতর কোথাও যেন কি একটা মাথা আলোআঁধারি আবছা আবছা ভেসে ওঠে। হৃদগতিটা একটু ওঠানামা শুরু করে। যেমন এখন করছে।