Saturday, February 22, 2014

অলস সকাল - আজ রবিবার

নিউটনের প্রথম সুত্র বলে "বাইরে থেকে প্রযুক্ত কোন বল দ্বারা বাধ্য না করা হলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির আর চলমান বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখায় গতিশীল থাকবে।"

   বাপরে সুত্রটা এখনো মনে আছে দেখছি! আরে নিউটন এর সুত্র বলছি বলে আবার ভাববেন না যেন আমি বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতে বসেছি। আসলে আমি যে কি নিয়ে আলোচনা করতে বসেছি নিজেই জানি না। সত্যি কথা বলতে কি আমার কিছুই বলার নেই।

  একটা রবিবার সকাল (না দুপুর? এখন চারটে বাজে)।
অত্যন্ত অলস দিন বলতে যা বঝায় তাই। ঘুম থেকে দুপুর দুটোর সময় উঠে মনে হচ্ছে যেন দুনিয়াকে ধন্য করে দিয়েছি। সেই যে উঠেছি তার পর থেকে বসেই আছি। না শুধু বসে নেই। সাথে ল্যাপটপ, আমার বন্ধু, আমার শত্রু, আমার দুনিয়া। বসে আছি তো বসেই আছি।

   এখন একটা অদ্ভুত ক্ষমতা হয়েছে। কিছু না করেই আমি সময় কাটাতে পারি। এক যায়গায় বসে বসে। শুনেছি প্রাচীন কালে মুনি ঋষিদের এই ক্ষমতা ছিল। তারা যখন ধ্যানে বসতেন তখন নাকি ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতেন এক যায়গায়। শুধু কি ঘন্টা? শুনেছি এক মুনি নাকি এমন ধ্যানে বসেছিলেন যে তার চারিদিকে উইএর ঢিবি হয়ে গিয়েছিল। এখনকার দিন হলে অবশ্য এটা হতে পারত না। সরকারের লোক এসে ঠিক উই মারার তেল ছড়িয়ে দিয়ে যেত।
 
 আর এক মুনি তো এক বট গাছের তলে বসে বসেই এমন ধ্যান করলেন যে প্রায় মরতে বসেছিলেন।কোন এক নারি একবাটি পায়েস দিয়ে বাঁচিয়েছিলেন। মুনি ঋষিরা বসে বসে অনেক কিছু বিচার করতেন। তা থেকে অনেক ভাল ভাল কিছু উৎপন্ন হত। যেমন হয়েছিল রামায়ন, যেমন বৌদ্ধ ধর্ম। যারা এসব করতেন তাদের বিশেষ নামে ডাকা হত। মহাপুরুষ।মহামানব। তারা ছিলেন বিশেষ বার্তাবাহক।ইংরেজিতে "Messenger" কালের বার্তা। যুগের বার্তা। মানবজাতির বার্তা।

 কথায় বলে, "ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় ( History repeat itself)" । তা সত্যি। বার্তাবাহকরা আবার ফিরে ফিরে আসছেন। শুধু আসছেন ই না, অনেক অনেক আসছেন।  তবে ছোট্ট একটা পার্থক্য। এনারা মানব বা মহামানব নন। আসলে প্রাণীও নন। যন্ত্র। এনারা হলেন, "Whatsapp", "Yahoo Messenger", "MSN", "Skype", "Google Messenger", "Viber" ...... শুধু গুনতে যাও... শেষ হবে না। মানবজাতির শুরু থেকে গত পাঁচ হাজার বছরে যত বার্তাবাহক এসেছেন শেষ পাঁচ বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি Messenger এসে গেছে।

  এখন বার্তা বাহকের (Messenger) কম নেই কম শুধু বার্তার। এমন এক বার্তা যা মানবজাতিকে ফের ঠিক রাস্তা দেখাতে পারে।

চল ছাড়। এমন গম্ভীর কিছু বলার জন্য আমি বসি নি। কিন্তু কি বলার জন্য বসেছি? কিছুই না।

আসলে এই রবিবারটা খুব মজাদার। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার কোন তাড়া নেই। না তাড়া আছে ঘুম থেকে উঠে কিছু করার। বেশ স্বাধীন স্বাধীন লাগে। বিশেষ করে যখন একা একা তখন তো কোন কথাই নেই। মনে হয় যেন রাজা। ঘরটা আমার সাম্রাজ্য। এই বিছানাটা, ওই কাপড় জামা রাখার ফ্রেমটা (হ্যাঁ, ফ্রেমই, আমার কোন আলমারি বা আলনা নেই) , রান্নার গ্যাস স্টোভ, মাইক্রো ওভেন, জুতো রাখার র‍্যাকটা, ফ্রিজ, আর এই ল্যাপটপটা। সবাই আমার খুব বাধ্য। আমার অনুমতি বিনা কেও নড়াচড়া করে না।

  আর ল্যাপটপটা তো আমার অল ইন ওয়ান মন্ত্রি। আমার গান শোনায়, খবর শোনায়, সিনেমা দেখায়, হিসাব কষে... কি কি যে করে তার কোন শেষ নেই। শুধু অর্ডার দাও। কোন প্রতিবাদ নেই, কোন চিকমিক নেই। সোজা নির্দেশ পালন। আহা। কি বাধ্য। এমন সাম্রাজ্য কোন রাজা পেয়েছে বলে আমি জানি না। এমন শান্তি, এমন সুখি প্রজা। কোন অভিযোগ নেই। কোন বিদ্রোহের ভয় নেই, নেই কোন সাম্রাজ্য পতনের আশঙ্কা। অপার শান্তি।

  এই তো চাই আমরা জীবনে।

দেখ, কিছু বলার নেই তাতেই এতো কথা বলে ফেললাম। বাপরে। হ্যাঁ, ইতিমধ্যে আর একটা মহান কাজ করে ফেলেছি। চা বানিয়ে ফেলেছি। আহা, গরম চায়ে চুমুক, সাথে গান, খবরের কাগজ পড়, ফেসবুক, চ্যাটিং, আড্ডা। জীবন কি সুন্দর।
  অনেক লিখে ফেলেছি। আজ আর না। কুঁড়েমি শিরায় শিরায় ঘিরে ধরছে। মন বলছে একটু রেস্ট নে। তবে হ্যাঁ একটা কাজ আছে ।একটু রান্না করতে হবে। গান তো চালুই আছে। গান শুনতে শুনতে রান্না, আলসেমি করে খাওয়া, আর দিনভর বসে শুয়ে কাটানো। আজকের প্ল্যান আপাতত এটুকুই।

শুরুতেই নিউটনের সুত্র বলেছিলাম না। এখন বোঝা গেল কেন বলেছিলাম? মনে হচ্ছে ওটা আমার উপর ও প্রয়োগ হয়েছে। বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল দ্বারা বাধ্য না করলে আজ আর আমার অবস্থান এর কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।

রবিবার সবার ভাল কাটুক।
  

Tuesday, February 11, 2014

I am what I am

Time comes in life when you suddenly found that the way you live is being questioned.

 For example you have a certain pace/speed of moving in your life. Now the point is it doesn't match with anybody in the universe. And before you completely understand the situation you will be tagged as either "Slow" or "Fast".

Funny thing is, it is true that you are either faster than someone and or slower than someone. So the tag is not false. But the question is what will you do with that tag? You will be impressed or depressed? Difficult question. Interesting thing is that for the same pace you get two opposite tag. And more funny thing is if you change yourself thinking that it will solve the problem, tuning yourself in a different pace you notice that, that particular pace is also not matching with others. Still you are either faster or slower than others. 

He he.. you gave a great effort, changed yourself and still the result is same. And now you got a new tag "One who always change pace" Its a puzzle. There is no way out of it. Your pace is your pace. What you can do is what you can do. How you look to others are depend on the color of spectacle they are using. 

Is it not true that the universe look beautiful because we are different form each other? Is it not true that even we try we cannot be each other? 

Everybody born and grow up in different situation. The value of life we set in our life as a reference come from your experience which is different from each other. 

Is it not beautiful that everybody think differently? Is it not amazing that all the elements of this universe like sun, moon, planets, stars, galaxy being so unique form this universe. 

I am just a traveler in this endless time scale existing for a very short time. I have no time to decide what is good what is bad. I can just see things. I can enjoy. I can be happy.   
Sorry I have no time to be sad.